দামুড়হুদার চিহিৃত ভূমিদস্যু রোকনুজ্জামান রকু দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বিঘা বিঘা ফসলি জমি থেকে মাটি-বালু উত্তোলন করে রাতারাতি বনে গেছে কোটিপতি। নিরুপাই হয়ে পড়েছে হোগলডাঙ্গা গ্রামের কৃষকরা।
জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা ইউনিয়নের হোগলডাঙ্গা গ্রামের মৃহ মহিউদ্দীন বিশ্বাস ওরফে মহি সরকারের সেজো ছেলে চিহিৃত ভূমিদস্যু রোকনুজ্জামান রকু (৪২) হোগলডাঙ্গা গ্রামের মাঠের বিভিন্ন ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি-বালু উত্তোলন করে চলেছে।
তার মাটি-বালু উত্তোলনে আশে পাশের কৃষি জমির মালিকরা প্রায় তার কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। ১৫-২০ফিট গহীন করে কৃষি জমি থেকে মাটি-বালু কেটে বিভিন্ন ইট ভাটায় বিক্রি করছে।
পাশের জমিগুলোতে ভাঙ্গন সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিনিয়ন। ধষে পড়ছে ফসলি জমির মাটি-বালু। মাটি-বালু ভর্তি অবৈধযান ট্রাক্টরগুলো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হোগলডাঙ্গা গ্রামের মাঠ সহ বিভিন্ন সড়ক জুড়ে।
শুধু কৃষকরাই না ওই গ্রামের জনজীবন হয়ে উঠছে বিপর্যস্ত। এখনি বেপরোয়া চিহিৃত ভূমিদস্যু রোকনুজ্জামান রকু’কে প্রতিরোধ না করতে পারলে হোগলডাঙ্গা গ্রামের মাঠ থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে ত্রি-ফসলি জমিগুলো। নাম না প্রকাশের শর্তে স্থানীয় কৃষকরা জানান, রোকনুজ্জামান রকু খুবই প্রভাবশালী।
বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার সাথে তার সখ্যতা। সেই সুযোগে সে দীর্ঘদিন যাবত ক্ষমতার দাপটে কৃষি জমি থেকে মাটি উত্তোলন করে কয়েক বছরেই বনে গেছে কোটিপটি। সে কাউকেই পরোয়া করে না।
কৃষি জমিতে তার অত্যাচারের মাত্রা দিনকে দিন বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে। শুনেছি কৃষি জমির মাটি-বালু কাটা অপরাধ। কি যেন এক অদৃশ্য শক্তির বলে সে তার অবৈধ মাটি-বালু কাটা চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের কৃষি জমি রক্ষার্তে আমরা এ থেকে প্রতিকার চাই।