মেহেরপুরের বহুল আলোচিত হোটেল আটলান্টিকা কাণ্ডের চাঁদাবাজি মামলায় চার্জ গঠন করেছেন আদালত।
সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে তুহিন অরণ্য, আবু আক্তার করণসহ পুলিশের দেওয়া চার্জশিটের ১৭ আসামির বিরুদ্ধেই আদালত চার্জ গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন।
বুধবার মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মনজুরুল ইমাম এই আদেশ দেন। আলোচিত ও সমালোচিত হোটেল আটলান্টিকা কাণ্ডে অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে পর্ণগ্রাফি ও চাঁদাবাজির দুইটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছিল। চাঁদাবাজি মামলা (মামলা নম্বর ৪০৪/২৩) এর চার্জ গঠন করল আদালত। একই সাথে আদালত আগামী ২৭ জুলাই ২০২৪ তারিখে সাক্ষগ্রহণের দিন নির্ধারণ করেছেন।
এদিন মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি সাংবাদিক ও আইনজীবি তুহিন অরণ্য, সাংবাদিক আবু আক্তার করনসহ আরো কয়েকজন তাদের আইনজীবির মাধ্যমে মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন। তবে বিচারক আসামিদের আবেদন আমলে না নিয়ে চার্জশিটভুক্ত সকল আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের নির্দেশ দেন।
চার্জ গঠনের শুনানিতে আসামি পক্ষের আইনজীবি হিসেবে আদালতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট মারুফ আহমেদ বিজন, অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী, অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলামসহ তাদের জুনিয়ররা।
অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি ছিলেন জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর পল্লব ভট্টাচার্য। ইতোপূর্বে নাজনিন খান প্রিয়া ও ছন্দা খাতুনের ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে মোট ৩৫ জন আসামি সনাক্ত করা হয়েছিল। পরবর্তীতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তদন্তে ১৮ জনের বিপক্ষে কোন সাক্ষ্য প্রমাণ না পাওয়ায় তাদেরকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে বাকি ১৭ জন আসামীর নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করলে আদালত সেটা গ্রহণ করে।
চাঁদাবাজি ও পর্ণগ্রাফি মামলার আসামি হিসেবে যাদের পুলিশ চার্জভুক্ত করেছিল তারা হলেন মোছাঃ নাজনিন খান প্রিয়া, মোছাঃ ছন্দা খাতুন, মোঃ মামুন জোয়ার্দ্দার, মোঃ মতিয়ার রহমান, মোঃ আব্দুস সালাম, মোঃ হাসিবুল হক জয়, মোঃ মিজানুর রহমান জনি (মামলা চলমান অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন), নেহাল আল মুকিত, মোঃ শাহাজাহান আলী, মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন অরন্য, আবু আক্তার করন, মোছাঃ রেক্সোনা আরা, নিলুফার ইয়াসমিন রুপা, নুসরাত, বর্ষা, সুমন রহমান বিমান ও বিপাসা।