সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মেসেজিং অ্যাপগুলোর মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় একটি অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। মেটার মালিকানাধীন এই প্ল্যাটফর্মটি সারা বিশ্বে জনপ্রিয়। পারিবারিক থেকে অফিসিয়াল তথ্য আদান-প্রদানে এর ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলছে। যার সুযোগে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে প্রতারক চক্র। সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপে ইনভেস্টমেন্টের প্রলোভনে কয়েকটি প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে।
যেখানে ভুয়া ইনভেস্টমেন্ট অ্যাপের ফাঁদে ফেলে একজনের কাছ থেকে ৯০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। প্রতারণা চক্রটি প্রথমে বিদেশি এক্সপার্টদের একটি ভুয়া হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত করে। প্রতারক চক্রটি এই গ্রুপের মাধ্যমে কম সময়ে বেশি মুনাফা লাভের জন্য গ্রুপ মেম্বারদের ইনভেস্টমেন্টের প্রলোভন দেখাত।
এরপর প্রতারিত এই ভুয়া গ্রুপের নাম এবং এতে দেওয়া তথ্য দেখে আকৃষ্ট হন এবং বিনিয়োগে রাজি হন ভুক্তভোগী। এরপর চক্রটি তাকে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে প্ররোচিত করতে শুরু করে এবং ব্যবহারকারীকে প্লে স্টোর থেকে একটি মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করতেও বলা হয়। অ্যাপটি ডাউনলোড করার পর প্রতারণা চক্রটি ওই ব্যক্তিকে কোম্পানির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৯০ লাখ টাকা জমা দিতে বলে।
ভুক্তভোগীর আস্থা অর্জন করতে চক্রটি তাকে শুরুতে ১৫ কোটি টাকা আয়ের ভুয়া তথ্য দেখায়। কিছুদিন পরে সে টাকা ট্রান্সফার করতে গিয়ে সে ব্যক্তি বুঝতে পারেন তার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। প্রতারকরা তার অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেয় এবং লাভের ১০ শতাংশ বা প্রায় ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা দাবি করে। এরপর প্রতারিত পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। সম্প্রতি এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মুম্বাইয়ে, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্ট অনুযায়ী এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
হোয়াটসঅ্যাপে ইনভেস্টমেন্ট প্রতারণা থেকে রক্ষা পাবেন যেভাবে :
১. বিনিয়োগ স্কিমগুলোকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করবেন না এবং অজানা নম্বর থেকে প্রাপ্ত মেসেজ যাচাই করবেন। ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানিগুলো এভাবে ভুয়া মেসেজ পাঠিয়ে ইনভেস্ট করতে বলে না।
২. বিনিয়োগ সংক্রান্ত যে কোনো কথোপকথন শুরু করার আগে মেসেজ প্রেরকের পরিচয় যাচাই করে নিন। রেজিস্টার্ড কোম্পানির হলে আপনি অ্যাকাউন্টে একটি নীল চেকমার্ক দেখতে পাবেন।
৩. যদি আপনাকে কোনো মেসেজ পাঠিয়ে বা কল করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিনিয়োগের জন্য প্ররোচিত করা হয়, তবে অবিলম্বে সতর্ক হন। এছাড়াও যদি কেউ আপনাকে ভালো রিটার্নের নিশ্চয়তা দেয় তবে আপনি অতি সহজে বিশ্বাস করবেন না।
সূত্র: কালবেলা