শুরুতেই বাংলাদেশের বোলারদের তোপে বিপর্যয়ে জিম্বাবুয়ে। ৪১ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে সিকান্দার রাজার দল। সেখানে থাকে ঘুরে দাঁড়িয়ে সম্মানজনক পুঁজি পেয়েছে সফরকারীরা। ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও ক্লাইভ মানদান্দের ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশকে ১২৫ রানের টার্গেট দিয়েছে জিম্বাবুয়ে।
শুক্রবার (৩ মে) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ে পাঠান টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন সান্ত। টস হেরে ব্যাট করতে প্রথম ওভারে দুই চারের সাহায্যে ৮ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। এরপর দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসেই বাংলাদেশকে উইকেট উপহার দেন স্পিনার শেখ মেহেদি। রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান ক্রেগ আরভিন।
এরপর জয়লর্ড গাম্বি ও ব্রায়ান বেনেটে মিলে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিছুটা আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন বেনেট। তবে দলীয় ৩৬ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে জিম্বাবুয়ে।
গাম্বি ১৪ বলে ১৭, বেনেট ১৫ বলে ১৭ ও রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান অধিনায়ক রাজা। এরপর দ্রুতই আরও দুই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। রানের খাতা খোলার আগেই সেন উইলিয়ামস ও রায়ান বার্ল। ৩৮ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে জিম্বাবুয়ে।
এরপর দলীয় ৪১ রানে আবারও উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। ৬ বলে মাত্র ২ রান করে ফিরে যান লুক জঙ্গি। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসা ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে সঙ্গে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন ক্লাইভ মানদান্দে। ৭৫ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার।
তবে দলীয় ১১৬ রানে ৩৯ বলে ৪৩ রান করা মানদান্দেকে আউট করে ব্রেক থ্রু এনে দেন তাসকিন। মানদান্দের বিদায়ের পর দ্রুতই জোড়া উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে ১২৪ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন ও সাইফুদ্দিন নেন ৩টি করে উইকেট।
সূত্র: ইত্তেফাক