পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইস্যুতে বরাবরই আলোচনায় থাকে উত্তর কোরিয়া। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে ২০২০ সাল জুড়েও দেশটি তাদের কর্মসূচি চালিয়ে গেছে। সাইবার চুরির মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া ৩০ কোটি মার্কিন ডলার তারা এই খাতে ব্যয় করেছে। সোমবার জাতিসংঘের এক গোপন নথির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
স্বাধীন নিষেধাজ্ঞা পর্যবেক্ষকরা জানিয়েছেন, পিয়ংইয়ং ‘বিভাজনীয় পণ্য উৎপাদন, পরমাণু কেন্দ্র চালু রাখা এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র অবকাঠামোর উন্নয়ন করেছে, তারা এসব প্রকল্পের জন্য প্রযুক্তি ও পণ্য বিদেশ থেকে সংগ্রহ অব্যাহত রেখেছে।’
এ ব্যাপারে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার ব্যাপারে নতুন করে পরিকল্পনা করছে বাইডেন প্রশাসন। এর মধ্যে মিত্রদের সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে চাপ অব্যাহত রাখা এবং ভবিষ্যত সম্ভাব্য কূটনীতির বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে।
এদিকে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে অজ্ঞাতনামা এক সদস্য রাষ্ট্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার কাছে যেসব পারমাণবিক ওয়্যারহেড রয়েছে সেগুলো দীর্ঘ, মধ্যম ও স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে যুক্ত করা যাবে। ২০২০ সালে উত্তর কোরিয়া কোনো পারমাণবিক অস্ত্র কিংবা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়নি। তবে এই সময়ে তারা পারমাণবিক ওয়্যারহেডের পরীক্ষা ও উৎপাদনের প্রস্তুতি নিয়েছে।