ভারতের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে সম্প্রতি খবর হয়েছিল, ভারতে বিরাট প্রভাব ফেলবে করোনাভাইরাস। এসব প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছিল, ৪০ কোটি ভারতীয়ের শরীরে ঢুকবে এই ভাইরাস। সেন্টার ফর ডিজিজ ডায়নামিকস, ইকোনোমিকস অ্যান্ড পলিসি (সিডিডিইপি) জন হপকিন্স-এর একটি রিপোর্টকেই উদ্ধৃত করে খবরটি প্রকাশ করা হয়।
নিজেদের অফিসিয়াল ট্যুইটারে জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, সেই রিপোর্টে যে লোগো ব্যবহার করা হয়েছে তা অথোরাইজড নয়। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ট্যুইটের পরই একটি সংবাদমাধ্যম তাদের প্রকাশিত খবরটি তুলে নেয়। পরবর্তীতে আর একটি ট্যুইটে জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে লেখা হয়, জন হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথ-এর ফ্যাকাল্টি মেম্বাররা এবং প্রিন্সটনের গবেষকরা সিডিডিইপি রিপোর্ট মিলিয়ে নতুন এই রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে।
একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুইটে আরও লেখা হয়েছে, লেখকদের তত্ত্বে দায়ও সম্পূর্ণ ভাবে তাদেরই। এর সঙ্গে সিডিডিইপি, জন হপকিন্স বা প্রিন্সটনের কোনও সম্পর্ক নেই।
মার্চের শেষের দিকে আর একটি ট্যুইট করা হয় প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে। সেই ট্যুইটে এক ব্যবহারকারীকে লেখা হচ্ছে, এই কাজটি সম্পূর্ণ ভাবে প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়েছে। সেখানে একটি আনঅফিসিয়াল লোগো ছিল। সেই লোগো এখন ঠিক করে দেওয়া জরুরি।
যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির নিজস্ব কোনও বক্তব্য নেই বলা হচ্ছে, তাও কেন লোগো ব্যবহৃত হয়েছে- এমন প্রশ্নের উত্তরে বিশ্ববিদ্যালয় বলেছে, এই মতগুলি ছিল লেখকদের, গবেষকদের। তাদের দেওয়া এই তত্ত্বের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও যোগসাজশ নেই। আর তাছাড়াও রিপোর্টটি এই মুহূর্তে আপডেটও করে দেওয়া হয়েছে।
অর্থাৎ গবেষকদের প্রকাশিত তত্ত্বের কোনও দায় নিতে চাইছে না বিশ্ববিদ্যালয়গুলি।
সূত্র: এই সময়