কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নামাজের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টির উদ্দেশে ৪০ দিন জামায়াতের সঙ্গে নামাজ পড়লেই প্রতি ওয়াক্তে কিছু না কিছু খাবার পরিবেশন এবং ৪০ দিনের মাথায় বাইসাইকেলসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার দেয়া হয়েছে।
এমনই মহতী উদ্যোগ নিয়েছেন কুমারখালীর মো. নুরুল ইসলাম সোনা।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ৪০ দিনের মাথায় চাউলকোটা জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে কেরাত ও ইসলামি সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় দুই গ্রুপের ২২ জনের মাঝে বাইসাইকেলসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার দেয়া হয়েছে।
‘এসো বন্ধু নামাজ পড়ি কোরআন দিয়ে জীবন গড়ি’ শ্লোগানকে সামনে রেখে গত ৫ জানুয়ারি থেকে প্রতিযোগিতা শুরু হয় চাউলকোটা জামে মসজিদে। ক গ্রুপে ১২ বছর বয়সী এবং খ গ্রুপে ১৮ বছর বয়সী ৪০ জন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে প্রতিযোগিতায় ২২ জন টিকে থাকে এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি তাদের মধ্যে দুটি গ্রুপে কেরাত ও ইসলামি সঙ্গীতের প্রতিযোগিতা হয়।
ক গ্রুপে ৭ বছর বয়সী আব্দুল্লাহ কেরাতে ও মো. জাকারিয়া খান ইসলামী গানে প্রথম স্থান অধিকার করেন। এবং খ গ্রুপে মো. সাঈদ হাসান কেরাতে ও মো. আরাফাত ইসলামি গানে প্রথম হয়। দুটি গ্রুপের প্রথম স্থান অধিকারী ৪ জনকে বাইসাইকেল পুরস্কার দেয়া হয়। এছাড়া বিদেশি কম্বল সহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার অংশগ্রহণকারী ৪০ জনের মাঝে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান আকর্ষণ ছিলেন ড. হাই মুহা. সাইফুল্লাহ। তিনি বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন।
উদ্যোক্তা মো. নুরুল ইসলাম সোনা বলেন, সবাইকে নামাজের প্রতি আগ্রহী করার জন্যই আমাদের এই পদক্ষেপ। প্রতিবছরই এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। কুমারখালীর সহৃদয় ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তায় অনুষ্ঠানটি সফল করতে পেরেছি। তবে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তির মধ্যে দিয়ে আয়োজন শেষ হয়ে যায়নি। সারা বছর প্রতি শুক্রবার চাউলকোটা জামে মসজিদে ৫ ওয়াক্ত নামাজেই উপস্থিতিদের মাঝে খাবার দেয়া হবে।