কথা বলছেন কাস্টমার কেয়ারের সঙ্গে, সেই কল ফরওয়ার্ড করে পাঠানো হচ্ছে অন্য কাউকে। জানতেই পারবেন না আপনি এইভাবে সম্প্রতি নতুন প্রতারণার ছক তৈরি করেছে সাইবার অপরাধীরা। এই প্রতারণা থেকে সাবধান থাকতে বলল ট্রুকলার। দেশজুড়ে এই অপরাধ কীভাবে ঘটানো হচ্ছে জেনে নিন।
কল ফরওয়ার্ডিং কৌশল ব্যবহার করে গোটা দেশে নতুন প্রতারণা শুরু করেছে সাইবার অপরাধীরা। এই জালিয়াতি যে নতুন তেমনটা নয়, তবে সম্প্রতি এই প্রতারণা বৃদ্ধি পেয়েছে দেশের বিভিন্ন অংশে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন মানুষজন। ইতিমধ্যে এই সম্পর্কিত তথ্য দিয়ে গ্রাহকদের সাবধান করেছে ট্রুকলার।
এই জালিয়াতি সম্পর্কে বহু মানুষকে সাবধান করলেও, অপরাধীরা নিত্য নতুন কৌশল ব্যবহার করে নিরীহ মানুষদের ফাঁদে ফেলছে। অনেকেই বিষয়টি সম্পর্কে না জানার ফলে, খুব সহজে সেই জালিয়াতির শিকার হচ্ছেন।
কল ফরওয়ার্ডিং প্রতারণা কী?
অপরাধীরা প্রথমে, আপনার মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর বা ব্রডব্যান্ড সংস্থা থেকে গ্রাহক পরিষেবা প্রতিনিধি বা কাস্টমার কেয়ার সেজে কথা বলার ভান করবে। আপনার মোবাইল নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেট গতিতে কোনও সমস্যা আছে কিনা তা জিজ্ঞেস করবে।
এই পরিস্থিতিতে গ্রাহক তার উত্তর দিলে, তাকে বিভিন্ন অজুহাত দেখানো হবে যেমন সিমকার্ডে কোনও সমস্যা রয়েছে বা অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে ইত্যাদি। এবার দ্রুত সমস্যা সমাধান করার জন্য আপনাকে ৪০১ নম্বরটি ডায়াল করতে বলবে।
এক রিপোর্ট অনুযায়ী, এই নম্বরের মাধ্যমে তাদের কাছে থাকা একটি নম্বরে কল ফরওয়ার্ড করে। তাদের কাছে যে নম্বরটি রয়েছে সেটা তারপর এই ৪০১ নম্বর। এইভাবে তারা গ্রাহকের ফোন নম্বরের অ্যাক্সেস পাওয়ার চেষ্টা করে।
একবার ফোন নম্বরের অ্যাক্সেস পেয়ে গেলে মেসেজিং অ্যাপ, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট লগ ইন করার চেষ্টা করতে থাকে। যেহেতু কল ফরওয়ার্ডিং সক্রিয় রয়েছে তাই আপনার ফোনে আসা OTP মেসেজের অ্যাক্সেস পেয়ে যায় তারা।
কল ফরওয়ার্ডিং প্রতারণা হচ্ছে তা আপনি জানতেই পারবেন না। যদিও বিভিন্ন ব্যাংক শক্তিশালী নিরাপত্তা স্তর বজায় রাখে, তবুও ফাঁক ফোকরের মাধ্যমে টাকা লোপাট করার জন্য এই কৌশল ব্যবহার করে সাইবার অপরাধীরা।
আপনি কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
এই পরিস্থিতিতে আপনি ৩টি সাবধান বাণী মেনে চলতে পারেন। যাতে কল ফরওয়ার্ডিংয়ের চেষ্টা করলেও তারা আপনাকে প্রতারিত করতে পারবেন না। আর যদি এই জালিয়াতির শিকার হন, তাহলে অবিলম্বে এই পোর্টালে গিয়ে অভিযোগ জানান। ফোন নম্বর থেকে কোনও কোড ডায়াল করবেন না বা সেই কোড SMS পাঠাবেন না। ফোনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বদা পাসকোড অথবা ফিঙ্গারপ্রিন্ট/আইরিশ এই ধরনের বায়োমেট্রিক ব্যবহার করুন।
কাস্টমার কেয়ার ফোন করলেও তাকে কোনও ওটিপি বা ব্যক্তিগত তথ্য দেবেন না।
সূত্র: ইত্তেফাক