প্রতিষ্ঠাতার ৪৩ বছরে পদার্পণ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশ^বিদ্যালয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। সোমবার বেলা সাড়ে ১০টায় দিবসটি উপলক্ষ্যে বিশ^বিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন, আনন্দ শোভাযাত্রা, কেক কাটা, আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
শোভাযাত্রা শেষে ক্যাম্পাসের আমবাগানে অবস্থিত বাংলা মঞ্চে এক আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া। এছাড়া স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ^বিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্টার এমদাদুল হক।
এরপর শিক্ষার্থীদের আলোচনা সভা শেষে বাংলা মঞ্চে কেক কাটা হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল। এরপর শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
সভায় ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন অর্জন আমাদের বরাবর অনুপ্রাণিত করে। শিক্ষা-গবেষণায় মনোনিবেশ করে আমরা শ্রেষ্ঠতর থেকে শ্রেষ্ঠতম বিশ্ববিদ্যালয়ের কাতারে দাঁড়াতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মদিনে এটাই প্রত্যাশা।’
উল্লেখ্য, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত প্রথম সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় এটি। ১৯৭৯ সালের ২২শে নভেম্বর কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ জেলার মধ্যবর্তী স্থান শান্তিডা-দুলালপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি পস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। ১৯৮৫-৮৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে ৪টি বিভাগে ৮জন শিক্ষক ও ৩০০ শিক্ষার্থী নিয়ে শুরু হয় একাডেমিক কার্যক্রম। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে সোমবার প্রতিষ্ঠার ৪৩ বছরে পা রাখলো ১৭৫ একরের এ বিদ্যাপীঠ।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮টি অনুষদের অধীন রয়েছে ৩৪টি বিভাগ। রয়েছে ৩৯০ জন শিক্ষক ও ১৫ হাজার ৩৮৪ জন শিক্ষার্থী এবং ৭৯১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। বর্তমানে প্রায় অর্ধশত বিদেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন এখানে।