২৪ জুলাই দুপুর আড়াইটার দিকে মেহেরপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ইয়াদুল মোমিনকে মোবাইলে ফোন করে ৫০টি চাঁদাবাজি মামলা করার হুমকি দিলেন মেহেরপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতু। কিন্তু দিন না যেতেই ওই রাতেই মেহেরপুর সদর থানা মেহেরপুর প্রতিদিনের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মাহাবুব চান্দুর বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ করলেন তার ক্লিনিক ম্যানেজারকে দিয়ে। অভিযোগে তিনি জানান, মাহাবুব চান্দু ২৪ জুলাই দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার মায়ের হাসি ক্লিনিকে গিয়ে চাঁদা দাবি করেছেন।
প্রকৃত সত্য হলো, মাহাবুব চান্দু ও মেহেরপুর প্রতিদিনের বার্তা সম্পাদক জুলফিকার আলী কানন দুজনেই গিয়েছিলেন মেহেরপুর মা ও শিশু হাসপাতাল (মেটার্নিটি) ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ডিডির কার্যালয়ে। কারণ মা ও শিশু হাসপাতালে চাকরি করেন মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতুর মেয়ে ডা. রুমানা হেলালী জুসি। তিনি গত মে মাস থেকে মাতৃকালীন ছুটিতে আছেন। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, তিনি ছুটিতে থাকলেও মায়ের হাসি ক্লিনিকে নিয়মিত সিজারিয়ান অপারেশন করছেন এ ব্যাপারে অনুসন্ধান করতে এবং তার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের বক্তব্য নিতে। মাহাবুব চান্দুর ওই যাওয়াকে কেন্দ্র করে যাতে সংবাদ প্রকাশ করা না হয় সেকারণে তিনি সম্পাদককে চাঁদাবাজি মামলার হুমকি দেন এবং রাতে থানায় মাহাবুব চান্দুর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেন। পরদিন ২৫ জুলাই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমাদের অর্থনীতির সাংবাদিক মাসুদ রানা ও জবাবদিহীর সাংবাদিক এ সিদ্দিকী শাহিন মায়ের হাসি ক্লিনিকের ফটকের সামনে ছবি তুলতে গেলে মালিক মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতু ও তার ছেলে মুত্তাকী বিল্লাহ শাফিন শাহিনের মোবাইল ছিনিয়ে নেয় এবং তাদের দুজনকে লাঞ্ছিত করে। অপরদিকে, ছায়াতদন্তে অভিযোগের সত্যতা না পেয়ে থানা সে অভিযোগ আমলে নেয়নি বলে সদর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, মাহাবুব চান্দু কোনদিনই তার মায়ের হাসি ক্লিনিকে যাননি।
এদিকে মেহেরপুর প্রতিদিন সম্পাদক নিজের ও তার স্টাফদের নিরাপত্তার স্বার্থে গত বুধবার সন্ধ্যায় সদর থানায় একটি জিডি করেন।
মেহেরপুর প্রতিদিনের সম্পাদককে মোবাইল আলাপন ও হুমকি দেওয়ার অডিওটি শুনলে পাঠকরা পরিস্কার হবেন।
বিস্তারিত শুনুন নিচের লিংকে: