৭ মাস ও ১১ মাসে কোরআনের হাফেজ হয়েছেন ছাতিয়ান হাফিজিয়া ক্বওমী মাদ্রাসা লিল্লাহ বোডিং ও এতিম খানার মোঃ সামিউল ইসলাম ও মোঃ ইয়ামিন হোসেন নামের দুই শিক্ষার্থী।
আজ শনিবার সকালে আনুষ্ঠানিক ভাবে মাদ্রাসা হল রুমে দুই শিক্ষার্থীকে পুরুষ্কৃত করেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, ছাতিয়ান গ্রামের মৃত গোলাম কাদের ইসলামী শিক্ষা প্রসারের উদ্যোগ নেন এবং এলাকাবাসীর সহযোগতিায় ছাতিয়ান ব্রিক ফিল্ড বাজারের সন্নিকটে ১৯৭৭ সালে ছাতিয়ান হাফিজিয়া ক্বওমী মাদ্রাসা লিল্লাহ বোডিং ও এতিম খানা গোড়ে তোলেন। তখন থেকেই প্রতিষ্ঠানটি অত্র এলাকা সহ আশেপাশের এলাকার শিক্ষার্থীদের সুনামের সাথে শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫শ জন। এর মধ্যে দুইশ জন আবাসিক থেকে লেখাপড়া করছে। হুফ্ফাজ, ক্বওমী ও নুরানী বোর্ড দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে মাদ্রাসাটি। এখানে নার্সারী থেকে শুরু করে জামাত খান উর্দু থেকে কাফিয়া পর্যন্ত ৯টি বিভাগে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারে।
ছাতিয়ান হাফিজিয়া ক্বওমী মাদ্রাসা লিল্লাহ বোডিং ও এতিম খানার সুপার আবুল হাসান জানিয়েছেন, গাংনী উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে ও এই মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষার্থী মোঃ সামিউল ইসলাম ৭ মাস ১ দিনে কোরআানের হাফেজ হয়েছেন। অষ্টম শ্রেণীর আরেক শিক্ষার্থী বালিয়াঘাট গ্রামের আহসান হাবীবের ছেলে মোঃ ইয়ামিন হোসেন ১১ মাসে কোরআনের হাফেজ হয়েছেন। অন্যন্য শিক্ষার্থীদের কোরআনে হাফেজ হতে উদ্বুদ্ধ করনের জন্য আমরা প্রতি বছরই নতুন হাফেজদের পুরুস্কৃত করে থাকি। তিনি মাদ্রাসাটি আরো ভালো ভাবে পরিচালনার জন্য এলাকার মানুষের কাছে সহযোগীতা চেয়েছেন।