সারা পৃথিবীতেই লড়াই চলছে মহামারী করোনার বিরুদ্ধে। করোনা সংক্রমণ রুখতে পৃথিবীর প্রায় সমস্ত দেশই লকডাউনের ঘোষণা করেছে। ফলে পৃথিবী জুড়ে অর্থনৈতিক কাজকর্ম প্রায় থমকে গেছে। তাই সব দেশই নিজের মতো করে লড়াই করে বাঁচতে চেষ্টা করছে অর্থনৈতিক সংকট থেকে। তেমনই পরিকল্পনা নিয়েছে কুয়েত। রবিবার কুয়েত সরকার ড্রাফট্ এক্সপ্যাট কোটা বিল বা খসড়া আনুপাতিক সংরক্ষণ বিলে অনুমোদন দিয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, কুয়েতে বসবাসকারী ভারতীয়দের সংখ্যা কখনওই দেশের মোট জনসংখ্যার ১৫ শতাংশের বেশি যেন না হয়।
এই বিল অনুমোদিত হলে কুয়েতে কর্মসূত্রে রয়েছেন এমন কমপক্ষে সাত লক্ষ ভারতীয় বাধ্য হবেন কুয়েত ছাড়তে। কুয়েতে রয়েছেন ১৪.৫ লক্ষ ভারতীয়। ফলে এই বিল অনুমোদিত হয়ে গেলেই ওই ১৪.৫ লক্ষের মধ্যে সাত লক্ষ ভারতীয়কে কুয়েত ছাড়তেই হবে। এই সব ভারতীয়রা কেউ কুয়েতের বিভিন্ন হোটেলে কাজ করেন। কেউ কেউ বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানি বা আন্তর্জাতিক ব্যাংকে রয়েছেন। শুধু তাই নয়, অনেকেই কুয়েতে অসংগঠিত ক্ষেত্রেও কাজ করেন। যেমন নির্মাণশিল্প থেকে শুরু করে আরও অনেক।
কুয়েতে এতদিন স্থানীয় স্তরে সস্তার শ্রমিক পাওয়া যেত না। যেটা বিদেশ থেকে আগত শ্রমিকদের ব্যবহার করলে অনেক সস্তা হত। তাই তাদের কাজে ব্যবহার করা হত। অনেক কষ্টে কুয়েতে থেকে, সামান্য অর্থ বাড়িতে পাঠাতেন কর্মীরা। এবার সেই রাস্তাও বন্ধ হতে চলেছে। একদিকে আমেরিকা এইচওয়ানবি ভিসা বন্ধ করে দেওয়ার ফলে নতুন করে ভারতীয়রা আর সেখানে গিয়ে কাজ করতে পারবেন না। এবার যদি কুয়েত থেকে বিতাড়িত হতে হয়, তাহলে ভারতে এসে পড়বে আরও শ্রমশক্তি। তাদের চাকরি কোথায় হবে? এ নিয়ে নতুন সংকটে পড়তে যাচ্ছে মোদি সরকার। সূত্র- নিউজ এইটটিন।