ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরের কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ৮১ লক্ষ টাকা ব্যায়ে এই কাজে নেই রডের ব্যবহার।
এ ঘটনায় এলাকাবাসী বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরের ওই কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। উপজেলার বলুহর ইউনিয়নের ‘জগন্নাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বুধবার এ চিত্র ধরা পড়েছে।
এলাকবাসী সুত্রে জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থ বছরে ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরের কাজ শুরু হয়। যে কাজটি করছেন যৌথ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আরএস ই ও এমএফ ই। এ কাজে ব্যয় হচ্ছে ৮০ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।
কাজ শুরুর পর থেকেই ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তোলেন এলাকাবাসি। বেশ কয়েকবার তারা কাজ বন্ধ করে দেন। আবারও সব ম্যানেজ করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
গত বুধবার রড ছাড়া সীমানা প্রাচীরের ঢালাই দিতে গিয়ে বাধে বিপত্তি। বড় এই অনিয়ম ধরা পড়ে এলাকাবাসির কাছে। বন্ধ করে দেন কাজ। একই অভিযোগে বন্ধ রয়েছে উপজেলার পাশপাতিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যায়ের কাজ।
ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি রাগীব উদ্দিন বলেন, কাজের অনিয়ম দেখে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অনিয়মের বিষয়ে ঠিকাদার আলমগীর হোসেন (আলম) জানান, রড ছাড়া কোন ঢালাই হয়নি।
ওই কাজের মধ্যে কোন রড ধরা ছিলনা। ওই ওয়ালের কফিনে চিকন তাঁর দেয়ার কথা। কয়েকটি কফিনে তা না দিয়ে মিস্ত্রিরা ঢালাই দিয়ে ফেলেছিল। পরে তা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। পাশপাতিলা সরকারি বিদ্যালয়ের কাজ বন্ধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, লেবার না পাওয়ায় কাজ বন্ধ রয়েছে।
জগনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিন্নাত আরা জানান, ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে গেট সহ সীমানা প্রাচীরের কাজ হচ্ছে। প্রথমেই ঠিকাদার ২নং ইট ব্যবহারের জন্য নিয়ে আসে। পরে অভিযোগ দিলে সেই ইট পরিবর্তন করে নিয়ে আসেন। এরপরও কাজ তেমন ভাল হচ্ছিল না।
পূণঃরায় অভিযোগ করলে কিছুদিন কাজ বন্ধ ছিল।তিনি বলেন, মুলত কাজ দেখার কথা প্রকৌশলী অফিসের। তারা বুঝে নেবেন। এরমধ্যে বুধবার এলাকাবাসির চোখে ধরা পড়ে রড ছাড়া ঢালাই দেয়ার কাজটি।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী রুহুল ইসলাম জানান, কিছু ঠিকাদারের খাচলত খারাপ। তারা সুযোগ পেলে খারাপ করার চেষ্ঠা করে থাকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। দেখে শুনে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে খারাপ কাজের অংশটুকু।
ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, অর্থ দন্ডই বড় শাস্তি। ওই প্রতিষ্ঠানের দিয়ে নতুন করে আবারও কাজ করানো হবে।